যে অ্যালগরিদম! মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করবে
আর্টিকেলটি পড়তে সময় লাগবে ৩ মিনিট
জীবন রক্ষাকারী ভবিষ্যদ্বাণী
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) একটি অ্যালগরিদম ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যা রোগীর অপরিহার্য কার্যাবলি পর্যবেক্ষণ করে হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের ক্রিয়াকলাপ বন্ধজনিত কারণে হঠাৎ আসন্ন মৃত্যু সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করে। ‘ওয়েভ ক্লিনিক্যাল প্লাটফর্ম’ নামের এ অ্যালগরিদমটি চিকিৎসা প্রযুক্তি কোম্পানি এক্সেলমিডিয়া তৈরি করেছে।
প্লাটফর্মটি পরিহার্য কার্যাবলির সূক্ষ্ম পরিবর্তন বুঝতে পারে এবং তা সম্ভাব্য প্রাণনাশক ঘটনা ঘটার ৬ ঘন্টা আগে পর্যন্ত সতর্কবার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম। প্লাটফর্মটি রোগীকে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করতে থাকে, যা বাস্তবানুগভাবে একজন পেশাদার মানব চিকিৎসকের পক্ষে সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত শিল্পে ব্যবহার্য জিনিসের পরিমাণ কমিয়ে আনা হচ্ছে, বিশেষত কর্মী নিয়োগের স্থানগুলোতে। এক্সেলমিডিয়ার চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার বলেন, “আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ ডাক্তার ও নার্স নেই। আমাদের বার্ধক্যগ্রস্ত জনসংখ্যা আছে, যারা অসুস্থ এবং যাদের আরও সম্বল ও সেবাযত্নের প্রয়োজন।”
সম্ভাব্য প্রাণনাশক ঘটনা ঘটার ৬ ঘন্টা আগে পর্যন্ত সতর্কবার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম
ব্যবস্থাটি একটির তুলনায় আরেকটি অত্যাবশ্যকীয় সংকেতও পর্যবেক্ষণ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শুধুমাত্র রক্তচাপের সূক্ষ্ম বৃদ্ধি গুরুতর কোনো ব্যাপার নির্দেশ করে করে না। কিন্ত যখন এটা অক্সিজেনের সম্পৃক্ততা বা রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের হার নেমে যাওয়ার সাথে সংযোজিত হয়, তখন এর মানে হতে পারে যে, রোগীর অবস্থার অবনতি বা সম্ভাব্য গুরুতর অবস্থা আসন্ন।
এআই চিকিৎসাবিজ্ঞান
শুরুর দিকেও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে। এর চলমান উন্নতি গবেষকদের কষ্টসাধ্য কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সহায়তা করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেকে নির্ভুল প্রমাণ করতে এবং দ্রুত রোগ নির্ণয়ে সক্ষম হয়েছে। এমনকি একবার রোগ নির্ণয়ের পরে অ্যালগরিদম চিকিৎসকদের সম্ভাব্য চিকিৎসার উপায় বলে দিয়ে সাহায্য করতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবায় নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বড় অবদানগুলোর একটি হতে যাচ্ছে এটি। যদি কম্পিউটার অস্বাভাবিকতার ছবি স্ক্যান করতে এবং পাশাপাশি অ্যালগরিদম সমস্যা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করে, তাহলে চিকিৎসকগণ তাদের রোগীদের প্রতি বেশি সময় দিতে পারবেন।